সম্প্রতি পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পেয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। নতুন বোর্ড সভাপতি নাজাম শেঠির কাছ থেকে দায়িত্ব পেয়ে জাতীয় দলে ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়ানোর কাজে হাত দিয়েছেন তিনি। এবার একই সময়ে দুটি জাতীয় দল প্রস্তুত রাখতে চান তিনি। খবর ডনের।

তিনি বলেন, ‘বেঞ্চের শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে আমি আমার এই দায়িত্বকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তানের জন্য দুইটি দল তৈরি করতে চাই।’

আধুনিক ক্রিকেটকে নান্দনিকতার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে ‘তিন মোড়ল’ হিসেবে পরিচিত ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। প্রায় একই সময়ে আলাদা ভেন্যুতে খেলতে ও বেঞ্চের শক্তি পরখ করে দেখতে একসঙ্গে দুটি দল গড়ে তুলেছেন তারা।

গত বছরের জুনেও মাত্র ১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে নেদারল্যান্ডস ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পুরোপুরি আলাদা দল নিয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াও একবার ভিন্ন ভেন্যুতে আলাদা দুটি দল খেলিয়েছে। আর ভারত তো কাজটা করে দেখিয়েছে সেই ১৯৯৮ সালেই।

সেই বছর কমনওয়েলথ গেমস ও সাহারা কাপের জন্য ভিন্ন দল গড়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ২০২১ সালেও ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরে বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বে আলাদা দুটি দল পাঠিয়েছিল তারা।

সেদিক বিবেচনা করলে পাকিস্তান অনেক পিছিয়ে। তবে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পাওয়া শহীদ আফ্রিদি খেলোয়াড়ি জীবনের সাহসিকতাই দেখাতে চাইছেন। দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তানের দুটি ‘জাতীয় দল’ গড়ে তোলার লক্ষ্য সাবেক এই অলরাউন্ডারের।

প্রথমবার পিসিবির দায়িত্ব পাওয়ার অল্প দিনের মধ্যেই পাকিস্তান ক্রিকেটের একটি সমস্যা ধরতে পেরেছেন আফ্রিদি। নির্বাচকদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল বলে মনে হয়েছে তার, ‘আমার মনে হয় অতীতে সবার মধ্যে যোগাযোগের ঘাটতি ছিল।

সব ক্রিকেটারকে আলাদাভাবে ডেকে নিয়ে কথা বলে বিষয়টি বুঝতে পেরেছি আমি। যেমন হারিস (সোহেল) ও ফখরের (জামান) সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি। ওদের ফিটনেস টেস্ট নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, ক্রিকেটার ও নির্বাচক কমিটির মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ থাকা উচিত।’